বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন [gtranslate]
শিরোনাম
প্রশাসনের অভিযানে আড়াই লাখ মিটার জাল জব্দ, ১৩ জেলের কারাদণ্ড ও ১০টি মাছ ধরার নৌকা ও জব্দ করা হয়। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে এক সাংবাদিকের উপর নিশংস হামলার অভিযোগ। সাংবাদিক নিপীড়নের ঘনঘটা, সাংবাদিকতায় শ্বাসরোধ মাদারীপুরের শিবচরে বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা করেন জনাব কামাল জামান নুরুদ্দি মোল্লা। দাকোপে সাইক্লোন শেল্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটির কর্মশালা অনুষ্ঠিত সঠিক খাদ্যাভ্যাসে কমে উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি বিশ্ব খাদ্য দিবসের ওয়েবিনারে বক্তারা গফরগাঁওয়ে আয়কর ও ভ্যাট সেবা কেন্দ্রের অফিস উদ্বোধন ভোলাহাটে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ পিরোজপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন জামায়াতে ইসলামি টাকা-পয়সার অপব্যবহার না করে অল্প খরচে নির্বাচন চায় : শামীম সাঈদী
Headline
Wellcome to our website...
রূপনগরের আগুনে নিহত ১৬ গেট বন্ধ করে দেওয়ায় কেউ বের হতে পারেনি, অভিযোগ স্বজনদের
/ ৪৭ সময় দেখুন
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:১৩ অপরাহ্ন

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে একটি গার্মেন্টস ও একটি কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন কেউ কেউ। স্বজনরা দিশেহারা হয়ে ছুটছেন ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছে। কেউ হারিয়েছেন ছেলে, কেউ ভাই, কেউ ভাগনি। মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে খোজ নিয়ে দেখা যায়, ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছেন উৎসুক জনতা ও নিখোঁজদের স্বজনরা। চারপাশে কান্না আর উৎকণ্ঠার ছাপ। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ভবনটি ঘিরে রেখেছেন। কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিকেল ৫টার দিকে নতুন করে সারি সারি অ্যাম্বুলেন্স ভবনের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়। তখন স্বজনদের মধ্যে নতুন করে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। তাদের ধারণা, ভেতরে হয়ত আরও মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।এই গার্মেন্টস কারখানাতেই কাজ করতেন ২০ বছর বয়সী রবিউল্লাহ। সকাল থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার। ছেলের খোঁজে ছুটছেন মা— একবার পুলিশের দিকে, একবার সেনাবাহিনীর কাছে, আবার ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের কাছে। কোথাও থেকে কোনো খবর মিলছে না। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ছেলেটা আমার বেঁচে আছে তো? আবার চোখ মুছে তাকাচ্ছেন আগুনের ধোঁয়ায় ঢেকে থাকা ভবনের দিকে। রবিউল্লার বড় ভাই হাবিবুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ভাই এই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। আগুন লাগার পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। যার কাছে যাচ্ছি কেউ কিছু বলতে পারছে না। সকালে আগুন লাগার পর নিচের গেট বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তাই ৩য় ও ৪র্থ তলা থেকে কেউ বের হতে পারেনি। ওই দুই ফ্লোরে প্রায় ১০০ জন ছিলেন।এই অভিযোগের সঙ্গে মিলে যায় আরও কয়েকজন স্বজনের বক্তব্য। তারা জানান, আগুন লাগার সময় ভেতরে অনেক শ্রমিক আটকা পড়েছিলেন। কেউ কেউ কাচ ভেঙে বের হতে পেরেছেন, কিন্তু অধিকাংশই বের হতে পারেননি। ঘটনাস্থলে থাকা নিপা নামে এক নারী জানান, তার বোনের ছেলে রবিন পোশাক কারখানার তিন তলায় কাজ করতেন। তিনি বলেন, আগুন লাগার পর থেকে ওর কোনো খবর নেই। বারবার ফোন দিয়েছি, কোনো সাড়া পাইনি। এখন জানি না, ও বেঁচে আছে কি না।একইভাবে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভাগনি মাহিরার ছবি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মো. শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, আমার ভাগনি মাহিরা তিন তলায় কাজ করতেন। আগুন লাগার পর থেকে ওর কোনো খবর নেই। চারদিকে খুঁজেছি, হাসপাতালেও খোঁজ নিয়েছি—কোথাও পাইনি।নিহতের সংখ্যা নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৯ জনের মরদেহ পেয়েছি। ধারণা করছি, কেমিক্যাল গোডাউনে আগুনের সময় যে বিস্ফোরণ হয়, সেখান থেকে নিঃসৃত বিষাক্ত গ্যাসেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ভবনটি এখনো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভেতরে আগুন জ্বলছে। কেমিক্যাল পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান স্থগিত রয়েছে। আমরা সবাইকে বলব, অন্তত ৩০০ গজ দূরে নিরাপদে থাকুন। ভেতরে এখনো কেউ থাকলে কেমিক্যাল নিষ্ক্রিয় করার পর সার্চিং শুরু করা হবে।এদিকে আগুনের উৎস সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। তারা জানায়, উদ্ধার কাজ শেষ হয়নি। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। কেমিক্যাল গোডাউনের মালিক বা কোনো কর্মচারীকে পাওয়া গিয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, কেমিক্যাল গোডাউনের মালিক পক্ষ বা ওইখানে কর্মরত কাউকে আমরা খুঁজে পায়নি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের খুঁজছে কিন্তু কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। কেমিক্যাল গোডাউনটির অনুমোদন ছিল কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গোডাউনটি দেখে বুঝা গেছে এটির হয়ত অনুমোদন নেই। তবে এই বিষয়ে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারব যাচাই-বাছাইয়ের পর। কেমিক্যাল গোডাউনে আর কেউ আছে কিনা জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল বলেন, এটা আমরা এখনো বলতে পারছি না আমাদের সার্চিং অপারেশন চলমান রয়েছে। তবে ভেতরে মরদেহ পড়ে থাকতেও পারে। গোডাউনটি এখনো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেখানে আমরা কোনো ধরনের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি না। কেমিক্যাল নিষ্ক্রিয় করা হবে তারপর আমরা সার্চিং অপারেশনে যাব।
এদিকে, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট বর্তমানে কাজ করছে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
আমাদের লাইক পেজ

Recent Comments

No comments to show.